Personal Blog | Travel | Tech

কেন আমি স্পোর্টস বাইক থেকে সরে আসলাম?


মানুষের শরীরের একটা অঙ্গ নস্ট বা কেটে গেলে কতটুকু ক্ষতি হয়, এটা কেউই বুঝতে পারবেনা যতক্ষণ না তার সেই ক্ষতি না হচ্ছে।

গত মে মাসে প্যান্ডেমিক পরবর্তী একটা ডে লং ট্যুরে যাই পদ্মা সেতু দেখতে যাই। এই প্রথম মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ে তে দুই চাকায় রাইড করি। সেদিনের চালানো আগের মত অতো এগ্রেসিভ ছিলোনা। কারণ, মাঝে তো লকডাউনে ঘরবন্দী ছিলাম কয়েক মাস।

সব কিছুই ঠিক ঠাক চলছিলো। রাতে ফেরার সময় বাড়ির কাছাকাছি এসে একটি বাইক দূর্ঘটনায় পড়ে বাম পাশের কলারবন ভেঙ্গে যায়। 😔 ফলাফল, বাম হাত অকেজো অবস্থায় বাধা থাকে প্রায় ২ মাস।

এই প্রথম নিজের শরীরের একটা অঙ্গ ভাঙ্গার ফলে ভবিষ্যতে কত সমস্যার সম্মুখীন হবো তা তো একমাত্র আল্লাহ ই ভালো জানেন।

প্রায় ৩ মাস পর ভাঙ্গা দুই হাড় উপর-নিচে জোড়া লাগলে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারি। কিন্তু…
আয়নায় তাকালে এক কাঁধ অন্য কাঁধের চেয়ে ১ ইঞ্চি ছোট দেখায়
ভাঙা অংশ উপরে উঠে আছে, এটা স্পষ্ট দেখা যায়
এবং
বাম হাতে কোন ওজন তোলা যায়না

যাইহোক, সেদিন তিন্দু থেকে উঠার সময় আমি সবার পেছনে ছিলাম এবং একটা শুকনা ইটের সোলিং ও মোটামুটি খাড়া অংশে পড়ে যাই বাইক সহ। কিন্তু এটায় আমার বিন্দুমাত্র আঘাত লাগেনি। কারণ, এটা হওয়ার পেছনে আমার ভাঙ্গা কলারবন ই দায়ী!!!
সামান্য একটা মাটির টুকরা আপহিলে ফ্রন্ট হুইলে পড়লে ডানে কেটে যায় বাইক। এবং সেটা সামান্য ঢালে কাত হয়ে গেলে থ্রটল চেপেও আগানো অবস্থায় ডানে পড়ে যায়। কারণ, আমি বাম হাতে এটাকে আটকানোর চেস্টা করিনি। যদি চেস্টা করতাম তবে আমার সেই হাড়ের জোড়া খুলে যেতো মুহুর্তেই!!!

এইদিন ই আমি আমার কলারবনের অভাব বোধ করি প্রচন্ডভাবে।

বাইক পড়ে যাওয়া সেই ফানি পোস্ট এখানে রয়েছে!

স্পোর্টস শেইপের হোন্ডা সিবিআরে এই ভাঙ্গা কলারবনের কারণে আমাকে অনেক পস্তাইতে হয় রাইডে। স্বাভাবিকভাবে বাইক চালানো যেতো সর্বোচ্চ ৩০/৩৫ মিনিট। এরপরই বাম হাত ছেড়ে ডান হাতে থ্রটল ধরে রাখতাম কিছুক্ষন। আর এই সুযোগে কোমর আর শোল্ডারে আরাম পেতাম।

যাইহোক, সিবিআর ছেড়ে দেওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ ছিলো এটি।
ইনশাআল্লাহ ইয়ামাহা এক্সএসআর নিচ্ছি ক্লাসিক রাইডের জন্য। যাতে এমন অসুবিধায় পড়তে না হয়।

Spread the love

Leave a Comment