Personal Blog | Travel | Tech

ডেঙ্গু রিকভারি তে আমাদের রিফ্রেশমেন্ট ট্যুর

ডেঙ্গু রিকভারি ও ভিটামিন Sea তে আমাদের রিফ্রেশমেন্ট ট্যুর। 

তারা, মা ও দুই ছেলে একসাথে ডেঙ্গু পজিটিভ হয়েছিলো আগস্টের শেষে। তাদের মায়ের প্লাটিলেট সর্বনিম্ন ৪০ হাজারে নেমে আসে।

২০২০ এর করনোকালীন থেকেই আমার ডাক্তার দেখানোর জায়গা ই DocTime এপ্স। এখানের কিছু ডাক্তার অলমোস্ট আমার ফ্যামিলি ডাক্তার হয়ে গেছে। সেইসময় আমার করোনা চিকিৎসা ও এখানেই করাই। যাইহোক এবার ও ডাক্তারের পরামর্শ নিই এবং তাদের মাধ্যমেই সেম্পল কালেকশন ও রিপোর্ট সব কিছুই চলে ঘরে বসে। ৩ দিন অফিস ছুটি নিয়ে তাদের সেবা করি ও ৪র্থ দিনের মাথায় ডেভেলপ দেখি, আলহামদুলিল্লাহ।

এই সময় আমার পাশে একমাত্র আল্লাহ আর আমার মা’ই ছিলেন। আর কেউ না! তাদের সুস্থ হওয়ার পরে তাদের ম্যান্টালিটি আরো উগ্র দেখি। বিশেষ করে নেগেটিভ রোগী আমার মেয়ে। বড় ছেলেও আর ঘরে স্থির থাকছেনা। তাদের মায়ের ও মন মানছেনা।

হঠাৎ আলোচনা করি, চলো যাইগা কথাও। কক্সবাজার এর কথা বলায় সে রাজি হয়। সুযোগ আসে তাদেরকে প্রথম আকাশ পথে উড়ানোর। যে ভাবা সেই কাজ। আবারো অফিস থেকে ছুটি নিলাম ২ দিন! 🥴

আলহামদুলিল্লাহ, ঘোরাঘুরি করার পুরাতন স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে, আমার কাছে প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করা। সেটাই বরাবরের মতো করলাম। সময় মতো ফিরে আবারো কাজে যোগ দিলাম। হানিফ ভলভো তে চড়ে গেলাম। ছোট ছেলে প্রথমবারের মতো বাসে উঠেছে। এবারই সন্তানদের নিয়ে সমুদ্রে গেলাম। ফিরলাম ইউএস বাংলা এআরলাইন্সে। তাদের মা কে নিয়ে প্রথম গিয়েছিলাম ২০১৪ সালে। সেবার আমি গিয়েছিলাম কক্সবাজার সাইকেলে।

দারুন একটা ট্যুর ছিলো আমার একার ও তার সঙ্গে। ❤️

টাকা’র প্রয়োজন আছে। যাদের জন্য প্রয়োজন তাদের পেছনে সময়মতো খরচ না করলে এ টাকার কোন মূল্য থাকবেনা। এটা আমার মনের কথা। তবে “টাকা আয় ও ব্যয়” র সংজ্ঞাটা ব্যক্তি ভেদে আলাদা। আমার সংজ্ঞা কে কারো মানতেই হবে এটা আমি বলছিনা। 🙏

এই ট্যুরে একটা বড় অংক খরচ করে আমার মেয়ে, ছেলেদের ও তাদের মায়ের যে খুশি আমি দেখেছি, এই টাকা ব্যাংকে থাকলে সেটার কানাকড়ি ও দেখতাম না বা উপলব্ধি করতে পারতাম না। 💝

দোয়ার দরখাস্ত রইল। 🤲

Spread the love

Leave a Comment