একই দিনে ১৯৫ কিঃমিঃ সাইক্লিং করতে মডারেট লেভেলের দরকার ১১-১২ ঘন্টা (আমার হিসেবে)। আর স্বাভাবিকভাবেই এক্সপার্ট লেভেলের কিছু কম। 😛 কিন্তু গতকাল এই ১৯৫ কিঃমিঃ রাইডে চলন্ত অবস্থায় ৮/৯ ঘন্টা সহ মোট ১২/১৩ ঘন্টার ১০/১১ ঘন্টাই যদি সম্পুর্ন বৃষ্টিতে ভেজা থাকি তাহলে কেমন লাগে??? :3
বাসা থেকে ভোরে বের হওয়া থেকে শুরু করে টাংগাইল থেকে ফেরার পথে আশুলিয়া পার হয়ে উত্তরা পর্যন্ত বৃষ্টি ছিল সারাক্ষণ। এর মধ্যে মেক্সিমাম টাইম স্পীডেই টেনে গেলাম ড্রাফটিং আর তিন জনের প্যাঁচাল পারতে পারতে। 😛
এমন রাইড এই প্রথম দিলাম। প্রথম বলতে একদমই প্রথম যে সারাক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজে সাইক্লিং। -_- বাদল ভাই তো বলেই দিছে, এমন কিছু না ঘটলে এইসব রাইডকে কেউ মনে রাখেনা। 😛 তাই তো… 😀
আর Badol & Rakib ভাইয়ের মত এক্সপার্ট রাইডার পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। ভালো লাগার মূল কারণ তাদের প্যাডেলিং দেখে নিজেরই স্পীড কয়েক গুন বেড়ে গেছে। 😀
আর সাধারণত যখন ২৫+ স্পীড থাকে তখন চলন্ত অবস্থায় একটানা কথা বলা খুবই কষ্টকর হলেও Rakib ভাইকে দেখলাম একটা মটর চালিত ভ্যান গাড়ির যাত্রির সাথে অনর্গল কথা বলেই যাচ্ছেন। তখন স্পীড ছিল ২৭-৩০ এর মধ্যে। একটানা প্রায় ৫/৬ কিঃমিঃ :O যারা পারে তারা এভাবেই পারে। 😉
সহযাত্রিদের সহযোগিতা করা নতুন কিছু নয় সাইক্লিং এ। আমার পেছনের চাকা পাংচার হয়ে যায় করটিয়া থেকে ফেরার পথে। তাদের দুজনের হেল্প মনে থাকবে। সাভার এসে রাকিব ভাইয়ের ট্রিট এর জন্য থ্যাংকস জানিয়ে ছোট করা যাবেনা উনাকে। 😛
তবে সবচেয়ে খারাপ লেগেছে, আমাদের সাথে হঠাৎ যোগ দেওয়া সাকিফ ভাইয়ের সাইকেল প্রবলেমের কারনের গাজীপুর কোনাবাড়ি থেকে উনাকে ফিরতে দেখায়। 🙁
আসলে টাংগাইল ট্যুর টা দিয়ে যেমন স্টিমিনা বেড়েছে তেমনি বেড়েছে আমার সফরের জেলা সংখ্যা। B|
নেক্সট টার্গেট চট্রগ্রাম বিভাগ এর কিছু জেলা… 😉
মুন্ডু তে আমার প্রায় ১৫-১৭ কিঃমিঃ কম আছে। 😛