সান্দাকফুতে কি আছে? সেখানে কিছুই নেই Adventure ছাড়া। আপনি যদি Adventurous না হোন বা পাহাড় কে ভালো না বাসেন তবে আপনার পক্ষে সেখানে পৌছানো তো দুরের কথা টিকে থাকাই সম্ভব নয়।
দেশে বিদেশের অনেক অনেক ট্রেকার সেখানে ট্রেকিং করেছেন। অর্থাৎ পায়ে হেটে কয়েকদিন লাগিয়ে পৌছেছেন। বিদেশী অনেক সাইক্লিষ্ট, মাউন্টেইন বাইকার সেখানে সাইকেলে পৌঁছেছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কোন সাইক্লিষ্ট এর এতো দুঃসাহস হয়নি সেখানে সাইকেলে যাওয়ার। কিন্তু আমি ইউসুফ মোহাম্মদ সিদ্ধাত সেখানে সাইকেলে যাওয়ার মত দুঃসাহস দেখিয়েছিলাম ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। শুধুই কি দুঃসাহস? আমার দুঃসাহস এতোটাই প্রকট ছিলো যে সম্পূর্ণ একা সেই দূর্গম পাহাড়ি আর ভয়ংকর সীঙ্গালীলা জঙ্গল পাড়িয়ে দিয়ে পৌছেছি সান্দাকফু – পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র বাংলার সর্বোচ্চ চূড়ায়।
এতোদিন পরে কেন আমি আবারো সান্দাকফুর ব্যাপারে লিখছি? জানুন সেই কথা…
আমার ফ্রেন্ড লিস্টের ভেতরে এবং বাহিরে অনেকেই জানেনা আমি সান্দাকফু সাইকেলে গিয়েছিলাম। রেসেন্টলি তিনজনের একটা টিম বাংলাদেশ থেকে সান্দাকফু জয় করে আসলে আমার যাওয়া নিয়ে সন্দেহের ঘর বাঁধে অনেক অনেক সিনিয়র সাইক্লিষ্ট বা মাউন্টেইন বাইকারের মনে। সেইসব সন্দেহের জঞ্জাট দূর করতে আমার এমন লেখনী।
আমার ব্লগে আমি বিস্তারিত লিখেছিলাম সান্দাকফু নিয়ে। সেখানে আমার সকল রাইডের জিপিএস ট্র্যাকিং লিংক রয়েছে Strava & Endomondo’র। মনে চাইলে দেখে আসুন। সাথে পর্যালোচনা করতে পারেন আমার ক্লাইম্বিং স্ট্যামিনা।
লিংক এখানে
সান্দাকফু ট্যুরের বাংলা ব্লগ লিংক এখানে
এই ট্যুরের পরে আমি এখনো কোন ট্যুরের মুখ দেখিনি সাইকেলে। কারণ আমার প্রফেশনাল লাইফ নিয়ে প্রচুর ব্যস্ততা। এরপর আমি বাবা হওয়ার টা ও আমার অনেক বড় আশির্বাদ ছিল। এই ট্যুর থেকে রেকর্ড করে আনা ৫০ জিবি পরিমাণ ভিডিও ফুটেজ ইডিট করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বা ফেসবুকে Episode আকারে দেওয়ার মত সময় হয়নি আজো। তাই, আমার অর্জন নিয়ে যখন কারো সন্দেহ হয় তখন সত্যিই খারাপ লাগে।
ও হ্যা, আমি এতো ভালো সাইক্লিষ্ট নই যে দিনের পর দিন ঘুম থেকে উঠেই ট্রেইনিং নিয়েছি। ক্লাইম্বিং,স্ট্যামিনা,ফ্ল্যাট রোডে চালানোর জন্য কোন দিন ও কোথাও টিম আকারে ট্রেইনিং নিইনি। আমার এসব স্ট্যামিনা নিজ থেকেই অর্জিত। ফ্ল্যাট রোডে সাইক্লিং এ আমার সেরা সময় কেটেছে ২০১৪ সালে। এরপর সকল মাউন্টেইনে আরোহন করার যে স্ট্যামিনা আমি অর্জন করেছি তাতেই আমি চষে বেড়িয়েছি দেশ-বিদেশের এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়। যে অর্জন অন্য কোন সাইক্লিষ্ট এর নেই।
২০১৪ বা ২০১৫ এর কোন এক গ্রুপ রাইডে চরম বিরক্ত হওয়ার পর থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিই একা একাই সাইকেলে পাড়ি জমাবো হাজার হাজার কিলোমিটার। তারপর থেকেই একা সাইক্লিং করতে পছন্দ করি। একা একা কত জায়গায় গিয়েছিলাম সব ইতিহাস আমার এলবামে রয়েছে। রয়েছে জিপিএস ট্র্যাকিং লিংকও।
হ্যা, আমি দুর্গম পাহাড়ে যেখানে প্যাডেল মেরে উঠেছিলাম সেখানে আপনি বা আপনারা ঠেলে উঠেছেন। এই ব্যাপারে আমার কনফিডেন্ট লেভেল অনেক হাই।
আমার কনফিডেন্ট লেভেল প্রমাণ করতেই আজ থেকে আমি আমার সান্দাকফু জয়ের এর সকল ভিডিও কোন ধরনের ইডিট ছাড়াই প্রকাশ করবো ইউটিউবে। তবে কিছু ভিডিও পাবলিকলি প্রকাশ করা ঠিক হবেনা নিজের কিছু ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ পাওয়া যেতে পারে বিধায়। ব্যক্তিগত তথ্য বলতে, আমার একা একা হাইওয়ে বা দূর্গম পথে সাইক্লিং এর পেছনে হিডেন কিছু ট্রিক্স থাকে। যা আমি কখনই কাউকে প্রকাশ করিনা আমার সহ-ধর্মিনী ছাড়া। এসব কিছুই আমার সেই ভিডিও তে স্পষ্ট থাকায় “হিডেন ভিডিও” উল্লেখ করা হয়েছে।
ভিডিওগুলো দেখুন, বুঝুন আর চিন্তা করুন আমি ইউসুফ কি জিনিস!!!
সকল ভিডিও পাবেন আমার ইউটিউব চ্যানেলে
ব্লগের লেখাটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ