Personal Blog | Travel | Tech

এক্সট্রিম সলো মাউন্টেইন বাইকিং ট্যুর (মিশন কেওক্রাডং)

বাংলাদেশের ৩য় সর্বোচ্চ ছুঁড়া। প্রত্যেক টা সাইক্লিষ্টের স্বপ্ন থাকে সেখান সাইকেলে পৌছানোর। আমিও এমন একটা স্বপ্ন লালন করে আসছিলাম সেই নীলগিরি থেকে ফেরার পরে। যাচ্ছি যাচ্ছি করেই তো হয়নি যাওয়া। এবার আর ছাড়াছাড়ি নেই, এমন মনোভাব নিয়েই বের হয়ে যাই। 🙂
এবং সফল হয়ে ঘরে ফিরে আসি। যার জন্য আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করেছি, করছি এবং করবো। B| 

এই ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছুই নতুন করে লেখার নাই। যা কিছু লিখেছি সব লেখা প্রত্যেকটা ছবিতে আলাদা আলাদা মুহুর্তের প্রত্যেক ঘটনাই লেখা আছে ক্যাপশন আকারে। আমার এই এডভেঞ্চারাস ট্যুরের এমন কোন মুহুর্ত নেই, যেই মুহুর্তের ঘটনা ছবি দিয়ে বা ছবির ক্যাপশন দিয়ে ঠিক ঐ মুহুর্তে আমার ফেসবুক দেওয়ালে শেয়ার করা হয়নি। 😛 
শুধু কষ্ট করে ছবিতে দেওয়া ক্যাপশনগুলো পড়ে নিতে হবে। এই যা!!! 😉

এন্ডোমুন্ডু ট্র্যাকিং লিঙ্ক সমুহঃ
১. বারৈয়ারহাট – রামগড় – জালিয়াপাড়া – মহালছড়ি – রাঙ্গামাটি
২. রাঙ্গামাটি – খাগড়া – বাঙ্গালহালিয়া – বান্দরবন
৩. বান্দরবন – ওয়াই জংশন – রুমা বাজার
৪. রুমা বাজার – বগালেক – কেওক্রাডং – বগালেক
৫. রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ
৬. বান্দরবন – নীলাচল – বান্দরবন

১৩.০১.২০১৫ বিগিনিং দ্যা ট্যুর

যথারীতি অফিস শেষ করে বাসায় এসেই আগে থেকে গুছিয়ে রাখা ব্যাগ, আর সাইকেল নিয়ে বের হয়ে যাই সন্ধার পরে। গাড়ির জন্য সেদিন আমার যে কি কষ্ট পোহাতে হয়েছে তা আর না ই বললাম। প্রায় রাত সাড়ে ১২ টায় একটি ভালো মানের বাস পেলাম যে কিনা আমার সাথে আমার সাইকেলে ও নিবে। আমি ভালো একটি সীট পাই, সাইকেল ছাঁদে উয়াঠিয়ে দিলাম।
ভোর সাড়ে ৪ টার কিছু পরে বারোইয়ারহাটস্থ নিজ বোনের বাসায় উঠলামক। সামান্য রেস্ট আর প্রিপারেশন নিতে নিতেই সময় পার হয়ে গেলো।
১৪.০১.২০১৫ বারৈয়ারহাট-রামগড়(খাগড়াছড়ি)-জালিয়াপাড়া-সিন্দুকছড়ি-মহালছড়ি-রাঙামাটি

ঠিক ভোর সাড়ে ৫ টায় ফজরের নামাজ পড়ে আমার রাইড স্টার্ট করলাম বারৈয়ারহাট থেকে।

For today, it’s not a commuter. but a mountain biker. 😉 😛

সেদিন ঠান্ডার চাপ ছিলো মোটামুটি। স্থানীয় জায়গা তো পাহাড়। আর উতর দিকে আগোচ্ছিলাম বিধায় বাতাসের চাপ টা সোজা মুখে লেগে নাকে আর চোখে আঘাত করছিলো। অনেকক্ষণ পানিও ঝরছিলো। :/ 

ঐ যে, উপরে নয়া টিলা মাজার। আর এটা উপরে উঠার সিড়ি।
নয়া টিলা থেকে ও অনেকদূর এসে তখন স্থানীয় মানুষের আনাগোনা কম দেখা যাচ্ছিলো। একজন মাদ্রাসা ছাত্র আমাকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করলেন কোথায় যাচ্ছি আর কোথা থেকে আসলাম। তার সাথে কিছু আলাপনের পরে ছবি উঠালাম। 🙂

আপহিল দেখে করিসনে ভয়, আড়ালে তার ডাউনহিল ভেটকি মারে 😛 😀This is the বালু টিলা ডাউনহিল। You know বালু টিলা? না চিনলে সাইকেলে আসা ছাড়া উপায় নাই। 😛


এটাই সেই মাদ্রাসা ছাত্র, যার সাথে আমার কথা হয়েছে এবং আমাকে ছবি তুলে দেয়। 
জীবনে প্রথম সাইক্লিং ট্যুরে এসে চা বাগান দেখলাম। তাও আবার খাগড়াছড়ি তে। রামগড় এর সামান্য আগেই এই চা বাগান। 🙂

চলতে চলতে এক সময় রামগড় উপজেলা সদরে এসে পৌছালাম। এখানেই আমার বড় ফুফুর ছেলেরা থাকেন। মেঝ ফুফাতো ভাইয়ের সাথে দেখা হলে এখন বড় ফুফাতো ভাইয়ের সাথে দেখা করবো। 


আমার দাদার দুই মেয়ের বড় মেয়ে আমার জন্মের আগেই ইন্তেকাল করেছেন। আমি দেখিনি কখনো। উনার ছেলে মেয়েদের দেখেছি। শুনেছি উনাকে দাদা বিয়ে দিয়েছিলেন এই রামগড় এ। যেখানে পাহাড়ে অনেক উচা। বেবি টেক্সিও উঠেনা। শুনেছিলাম, গাড়ি উঠতেও নাকি অনেক জোড় লাগে।

কখনো আমার যাওয়া হয়নি। আজ গেলাম।তাও সাইকেলে। যেখানে আছে বড় বড় টিলা। আজ আমি সেখানে গেলাম সেই ফুফুর দুই ছেলের সাথে দেখা ও করলাম। উনারা দেখে কতই না খুশি হয়েছেন যা বোঝানোর মত না। 🙂


মোঃ সিরাজ খন্দকার। আমার বড় ফুফুর বড় ছেলে। আমি আসার সময় আবেগে কেঁদে দিয়েছিলেন, মাঝে কেনো এতো সময় আমাদের যোগাযোগ ছিলোনা। আসলে তিনি বিশাল সময় বিদেশে কাটিয়েছেন,তাই এতো বড় গ্যাপ হয়। 🙂
আমাকে যথেষ্ট মেহেমানদারী করেছেন।
এই সিরাজ ভাইয়া বার বার মানা করেছেন সিন্দুকছড়ি যেনো না যাই। জায়গায়টা ভালো না। কিন্তু আমি তো একটা এডভেঞ্চারে এসেছি। এখানে তো ভয় পেলে আর চলেনা।
এগোতে থাকলাম সামনে। 
জালিয়াপাড়া মাত্র ১ কিলোমিটার। এখানের ১ সঙ্খাটা লাল মাটি তে ঢাকা ছিলো অনেকটূকু। আমি একটা সেল্ফি তোলার জন্য ১ সংখ্যাটা কে দেখাতে যেয়ে দুইটা ছোট ইটের টুকরা শেষ করছি। মাটি ঘষতে ঘষতে ক্লান্ত হয়ে শেষ মেশ সেল্ফি তুলেই ফেলেছি। 😛 :v
মাত্র জালিয়াপাড়া এসে পৌছালাম। আপহিল আর ডাউনহিলে ক্ষুধা লেগেছে। লাঞ্চ এখানেই সেরে ফেলছি। নেক্সট রুট হবে ডেঞ্জার জোন জালিয়াপাড়া – সিন্দুকছড়ি – মহলছড়ি রোড। যেদিক দিয়ে যাওয়া মানেই নিজের জান হাতে নিয়ে যাওয়া। ইনশাআল্লাহ তাই নিয়েই যাবো। আল্লাহতালার রহমতে কিছুই হবেনা আশা করি। 🙂 বিশেষভাবে দোয়া চাচ্ছি সকলের কাছে। B|
কোনরকমে লাঞ্চ সেরে রওনা হলাম সিন্দুকছড়ির দিকে। সামান্য এগোতেই আমার চাকা পাংচার হয়ে যায়। তখন যোহরের নামাজের সময় ও হচ্ছিলো। কিছুদুরে একটা মসজিদ পেলাম নামাজ পড়া এবং রেস্টের সাথে সাথে টিউবগুলো ও সারানোর জন্য। 
মসজিদের মূল ফটকে সাইকেল পার্ক করে নামাজে গেলাম

ঘামে ভিজে যাওয়া কিছু কাপড় এভাবেই শুকাতে দিলাম মসজিদের আঙিনায়।
মসজিদের ঈমাম সাহেব অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। উনার বাড়ি খুলনায়। অনেক কথার পরে তিনি আমাকে ভালো কিছু পরামর্শ দেন কিভাবে আমি এই ভয়ানক পথ সহজে পাড়ি দিতে পারি। তিনি আমাকে সহযোগিতা করেছেন মসজিদের কিছু পানি ব্যবহার এবং মোবাইল, পাওয়ার ব্যাংক চার্জ করতে দিয়ে। প্রায় ১ ঘন্টা সেখানে ব্য্য করে বিদায় নিয়ে সামনে এগোতে থাকলাম। 

এখানে থেকেই শুরুতে আমার মনে কিছুটা ভয় কাজ করছিলো। সামনে একটি আর্মি ক্যাম্পের মত পেলেও সেখানে কোন আর্মি নেই বলে জানলাম। একটা ছবি তুলে সামনের সিন্দুকছড়ি বাজারে আসতেই মানুষ আমাকে নিয়ে কানাঘোশা শুরু করে দিলো। 
এর পরের কাহিনী নিচের এই ছবিতে বিস্তারিত পোস্ট করেছিওলাম রাঙ্গামাটি শহরে পৌছে।

ছবির ক্যাপশন নিচে দেওয়া হলো।
সারা রাত না ঘুমিয়ে,গাড়িতে থেকে ভোর পৌনে ৫ টায় আপার বাসায় যেয়ে নামাজ পড়ে নাস্তা করেই বের হয়ে যাই খাগড়াছড়ি এবং রাংগামাটির উদ্দেশ্যে। রামগড় এসে আমার বড় ফুফুর মেঝো ছেলের সাথে দেখা করি। তারপ দেখা করি বড় ছেলের সাথে। যাদের আমার দেখা হয় আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ বছর পরে। কিন্তু আমি দেখেই চিনে ফেলি। কারন উনাদের অন্য ভাইদের অনেক দেখেছিলাম। 😀যাইহোক, দুপুর ১২ টায় চলে আসি জালিয়াপাড়ায়। স্থানীয়দের থেকে শুনি, জালিয়াপাড়া – সিন্দুকছড়ি হয়ে মহালছড়ি যাওয়ার রাস্তা খুবই খারাপ। আমার কথা হইলো, ভাংগা রাস্তা হইলেও যামু। তাতে কি? পরে শুনি সেখানেই সেই এলাকা, শান্তি বাহিনীর এলাকা। তাদের নাম শান্তি বাহিনী কোন হালায় রাখছিলো আমি এই ব্যাপারে খুবই কিউরিয়াস। যেখানে এক বিদেশী সাংবাদিক কে ২০০৮ না কত সালে আটকিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেছিল। আরো কত কাহীনিরে ঘটছে সেখানে। রিসেন্টলি ঘটছে তারা তাদের সম্প্রদায়ের একজনকেও এভাবে আটকাইছিলি। যাই হোক, আল্লাহর নাম নিয়ে রওনা দেই সেই পথেই। ৮ কিঃমিঃ পরেই সিন্দুকছড়ি। সেখানে আসতে আসতেই আমার চাকা পাংচার হয় সামনের টা। সেই সময় যোহরের আজান শুনি। নামাজ ও পড়ি, লিক ও ঠিক করি। সাথে রোদে সকালের ভিজে যাওয়া জ্যাকেট টা ও শুকাই। এই চান্সে গায়ের সব খুলে শুকিয়েছি। অন্যটা পড়ে নামাজের পরে লিক সারাতে বিজি। তখন ইমাম সাহেব এর সাথে অনেক্ষন আলাপের পরে বলে, এই রাস্তায় যাইয়েন না। অনেক কাহীনি শুনি উনার কাছ থেকে। আর আমার আছে দাড়ি। সেটাই বর প্রবলেম হবে আরো। কারন মুসলমান তাদের চোখের বিষ। সেই রাস্তা ঠিক ও করেনা সরকার। কারন তাদের এই আকামের জন্য। তবে তাদের কার্যকলাপ বেশি থাকে আওয়ামীলীগ সরকারের সময়। যাই হোক। আমি শিউর এই পথেই যাবো। নাহয় সময় মত পৌছাবো বা। নো রিস্ক নো গেইন টাইপ কথা মাথায় আসছে। 😀ব্যাস সিন্দুকছড়ি বাজারে এসেই দেখি অনেকেই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। মহালছড়িরর রাস্তায় ঢুকতেই ২ বাঙালী আমাকে জিজ্ঞেস করেই চোখ কপালে আমার কথা শুনে। আর সেই রাস্তায় মহালছড়ি পর্যন্ত অনেক পুরানা বাঙালী আর উপজাতি মটরসাইকেলে যাত্রি পার করে।পরে অনেকেই এসে আমাকে বোঝালো এবং শেষমেশ একটা বুদ্ধি ফায়সালা হল, একজন এক্সপার্ট এবং পুরানা মটরসাইকেল চালক আমাকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবে। সাথে একজন পুরানা উপজাতিকে তার বাইকে উঠালো যাতে শান্তি বাহিনী ধরলে কিছু বলতে পারে। আমিও তাদের সাথে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি। মহালছড়ি পর্যন্ত এখান থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা। ১৪ কিলোমিটা যাওয়া পরেই পাহাড় থেকে দুইজন লাফিয়ে এসে আমাকে বাঘের থাবার মত ধরে সাইকেল সহ তাদের পাড়ার একটা কাচারি ঘরে নিলো। সর্দার টাইপ একজন বাশের মধ্যে হুক্কা টাইপ টেনে এসে আমাকে এই সেই জিজ্ঞেস করলো। তবে আগেই আমাকে ওখান থেকে শিখিয়ে দিলো, চিটাগাং এর ভাষায় কথা বলবেন। আর বাড়ি মহালছড়ি বলবেন। আমিও তাই বললাম আর ধরাও খাইলাম। কারন, আমার চিটাগাং  এর ভাষা পুরাটা হচ্ছেনা। 😛 সেই মুরিব্বি আর মটরসাইকেল চালক এসে কিছুক্ষন তর্ক করলো। বলল, আমার মেহেমান কেনো রাখবে? আরো কত কিছি তাদের ভাশায় কইলো বুঝিনাই। 🙁এক সময় আমি ধরা খেয়ে ঝাড়ির চোটে হাছা কথা সব বাইর কইরা দিলাম। 😀আমাকে মটরসাইকেল চালক তাই করতে বলছে একটা বুদ্ধি বের করে। পরে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়, কিন্তু তাদের কি একটা কাপড় ছুঁয়ে কসম করছে, এই পথে আর কাওরে কোন দিন দেখলে আর ছাড়বেনা। এবং সেই মটরসাইকেল চালক কে ও সাবধান করে দিলো। সেই মুরুব্বি  ও চুপ!!!! কারন রক্ত এক। তারপর আমাকে নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলো মটরসাইকেল চালক। সেই উপজাতি মুরিব্বি সেখানেই থেকে গেলো। এবং শান্তি বাহিনী বলে দিছে খুব দ্রুত এই সিমানা থেকে বের হ। আর সেই সিমানা বের হওয়ার মাত্র আধা কিলোমিটার আগেই আমার সামনের চাকা লিক!!!! মানে, মড়ার উপর খাড়ার ঘা!!!! o.Oআমাকে মটরসাইকেল চালক ঠিক না করেতে দিয়েই ঠেলা দিয়ে নিয়ে হলেও সিমানা অতিক্রম করতে বলে। আমিও তাই করলাম। আমি সিমানা থেকে বের হয়ে দৌড়ের উপর ছিলাম। 😀এবার আসি আসল কথায়, আমি সেই সব মুহুর্তে কি ছিলাম আমি জানিনা।মুর্তি হয়ে গেছিলাম। এই এলাকায় ঢুকার আগেও আমাকে টাকা,মোবাইল খুব কঠিন গোপন জায়গায় লুকাতে বলেছিল। আমিও তাই করেছি মোবাইল সাইলেন্ট করে রেখে। কি ছবি তুলুম বা ভিডিও করুম??? আর কিছু বুঝাইতে পারুম না।আমার কড়জোড় রিকোয়েস্ট থাকবে, এই পথে আর কেউ আইসেন না। যদিই আসেন, তবে বাসায় লাখ ২০ টাকা রেডি রাইখেন। 😉 মহালছড়ি থেকে তো এক একটা আপহিল দেখে মজাই যেমন পাই না ক্যান, আমার মন।মরা হয়ে প্যাডেল ও মারতে ইচ্ছে করেনা। এভাবে আসা ও হইছে শেষ পর্যন্ত মিলনছড়ি। মাঝে ক্ষুধায় বাকা হইয়া গেছিলাম। 😛
মহালছড়ি থেকে যেভাবে টেনে আসলাম যে আমার মনে হচ্ছে আমাকে বাঘে দৌড়াচ্ছে। :/ 
নাহ, পা আর চলেনা!!! রাংগামাটি আরো ১৫ কিঃমিঃ বাকি। এর মধ্যে আমি পুরাই শেষ। ৬ টা টপহিল আমারে শেষ কইরা দিছে। 🙁 এখন এই অবস্থা,তাহলে কেওক্রাডং যেতে কি হবে?  আসলে আমি আমার জীবনের সেরা ভয়ানক এডভেঞ্চার সাইক্লিং পার্ট শেষ করেছি। বেচে আসছি শান্তি বাহিনীর হাত থেকে। :-/ বিস্তারিত রাতে বলবো… এখন খেয়েই দৌড়ের উপর থাকি। সন্ধার আগেই রাংগামাটি যাওয়া উচিৎ। নাহলে অন্ধকারে পাহাড়ি এলাকায় সাইক্লিং???
একটা আর্মি ক্যাম্পের কাছেই এই সেলফি তোলা 
আমার প্রিয় খেলা ফুটবল। তাই উপজাতি দের খেলা দেখে থামতে ইচ্ছে হল। কিন্তু ভয় কাটেনি বিধায় দোউড়ের উপর থাকলাম।
মানিকছড়ির প্রায় ৬/৭ কিলোমিটার আগে কোন আপ/ডাউনহিল ছিলো না। যেই মানিকছড়ি আইলাম আর চোখে ঠাডা পড়ছে। সেই যে বিশাল বিশাল আপহিল। এর পরিবর্তে তার চেয়ে দুই গুন ছোট ডাউনহিল। 😀 শালার মজাই নস্ট!!! 😛
বাংলাদেশের ৬৪ জেলাকে সাইকেলে দেখার জন্য সেই টার্গেটে খাগড়াছড়ি ৩৫ তম এবং রাঙামাটি ৩৬ তম। এবং এই দুই জেলার মাধ্যামে শেষ হল চট্রগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় সাইক্লিং ট্যুর। 🙂
আমি আজ সত্যিই অনেক হ্যাপি যে বাংলাদেশের ৭ টি বিভাগের ১ টি বিভাগ সম্পন্ন করেছি সাইক্লিং ট্যুরে। B| 
নেক্সট – রংপুর (২ জেলা) এবং রাজশাহী (১ জেলা) 😉
এই হোটেলে উঠেছিলাম রাঙ্গামাটি তে
পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা। সারাদিনে ১২২ কিলোমিটার সাইক্লিং এর ৭০% আপ আর ডাউনহিলে জান ডা শেষ। 🙁 খাইয়াই রুমে ঢুকে আগে চাকার দুইটা টিউবের লিক ঠিক করে তারপর আজকের গোটা কাহিনী আইমিন মহাভারত লেখা শুরু করুম। তারপর ঘুম… 😛 😀
এমন লং ট্যুরের জন্য সব সময় দুইটা এক্সট্রা টিউব রাখি। এবারো রাখলাম। কিন্তু আজকে দুইটা টিউব সেই ডেঞ্জার এলাকার আগেই এমন মেজাজ খারাপ করছে ডিস্টার্ব করে, ঠিকই করিনি। ভালো একটা দিয়েই কোন রকমের আসছি। এখন পিডাইয়া সোজা করছি দুইডারেই। 😛 এমন ট্যুরে ডিস্টার্ব করলে এই মুহুর্তে টিউব কই পামু!!! o.O
                  ১৫.০১.২০১৫ রাঙামাটি – খাগড়া – কাপ্তাই – বাঙ্গালহালিয়া – বান্দরবান 
সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা করে ভালোভাবে প্রিপারেশন নিয়ে বের হতেই কিছুটা দেরি হয়। আগে থেকেই হিসেব করা ছিলো বান্দরবান যেতে কেমন সময় লাগবে। আশা করি সন্ধার আগেই পৌছাবো ইনশাআল্লাহ্‌। 
তার আগেই রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ ঘুরে যাই। কে পারছে না পারছে তা দেখে লাভ নেই। আমি পারলেই হবে। আর সেটা হচ্ছে, ঝুলন্ত ব্রিজে সাইকেল চালাবো। 😀 
রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স গেটে সেলফি 😀 
Who knows this place and this guy? 😉 😛 😀 I’m so happy & glad to biked 2 rounds in this bridge. B| You can checked the last Endomondo workouts. 🙂
রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজে সাইক্লিং করা মানে সিম্পল কিছু!!! 😉 😛

পেছনে বিজিবি ক্যাম্পের লেখাটা খুব পছন্দ হইছে 😀 
রাঙামাটি ঝুলন্ত ব্রিজের আগেই এই ঘরটি। ঝুলন্ত ব্রিজে ফটো সেশন করে ক্লান্ত হয়ে রেস্ট নেওয়ার ফাকে একটা পিক… 😛 ফটো ক্রেডিটঃ এক পথিক

নিচের এই ছবিটি অনেক পরে বান্দরবান পৌছে রাতে পোস্ট করেছিলাম।

ছবির ক্যাপশন নিচে…

এতো বিশাল বিশাল পাহাড়ে ঘেরা এমন একটা শহরে নদী!!! চিন্তা করা যায়? o.O
গুগল ম্যাপ ওপেন করে দেখেন, রাঙামাটি শহর পুরাই পানিতে। শুরুতে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। শহরে ঢুকতেই যেই পাহাড় পড়ে তাতে উঠতে আমি দুই পাশেই ১ নাম্বার গিয়ার ইউজ করেছি। আর কোন গিয়ারে রাখতে পারিনি। তাও সময় লেগেছে অনেক। আর নামার সময় তো সে যে কি ডাউনহিল রে বাপ!!!! মানুষ আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যে আমি বিমান চালাচ্ছি। 😛 আর এতোই স্পীড যে কানে মৌমাছির মত শব্দ করছে। 😀 টপ স্পীড উঠেছিলো ৬৩.৭০ কিলোমিটার!!!  B|
এতো পানি আছে এই পাহাড়ি শহরে যে নদীর দেশ বরিশালেও নাই এতো পানি। 😛 😀
পানির সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আজকে পুরাই মারা খাইছি বরশড়। :-/
খুব ইচ্ছে ছিলো, কাপ্তাই যাবো। আর যাওয়ার সময় এমন পানি আর পাহাড়ের খেলা দেখতে দেখতে কাপ্তাই এর রাস্তা পার হয়ে চলে আসছি প্রায় ৭ কিলোমিটার। পরে আর ব্যাক করিনি। চলে আসছি ঘাখড়া হয়ে। কেন ব্যাক করবো? যেইসব ডাউনহিল পার করে আসছি সেগুলা এখন আবার বাইতে হপে। :3
আচ্ছা, সেই রাস্তার কথা যখন অন্যাদের জিজ্ঞেস করে এই রেজাল্ট পাই আর মন খারাপ ছিল তারপর মুন্ডু চালু না করেই চলে গেলাম অনেক দুর। 🙁 এখানে প্রায় ৭ কিলোমিটার মুন্ডু ট্রেকিং মিস। :'(
এরপর এক উপজাতি পিচ্ছির সাথে কথা বলতে দাড়াইছিলাম ঘাখড়া সেনানিবাস এর আগে। সেখানেও মুন্ডু চালু না করেই চলে আসছি প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার!!! 🙁
এরপরে বাংগালহালিয়ায় এসেও খেয়ে চলে গেলাম মুন্ডু চালু করা ছাড়াই প্রায় ২ কিলোমিটার!!!  :'(
এভাবেই আজ মুন্ডু মারা খাইলাম কয়েকবার। কিন্তু হাসিখুশি তে আছি আমি। কারন মাথা আর মন পুরাই রিলাক্স মুডে আছে। কাল যাচ্ছি কেউক্রাডং। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৩ টি চুড়ার একটি এটি। 😉
ইনশাআল্লাহ, কোন রকমের অঘটন ছাড়াই পৌছাবো সেখানে।
সবার কাছেই দোয়া আশা করছি। 🙂

রাঙ্গামাটি শহরে ঢুকতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাস্কর্য টা যেনো মূল ফটকের সৌন্দর্য্য টা রক্ষা করেছে। 🙂

স্থানঃ রাঙ্গামাটি 
সময়ঃ ১৫.০১.২০১৫
ট্যুরঃ এক্সট্রিম সলো মাউন্টেইন বাইকিং ট্যুর (মিশন কেওক্রাডং) 
Selfie with the statu of Bangabandhu B| Nice one in Rangamati city. 🙂
ঠিক এখানেই আজ আমাকে প্রথম আর্মি চেক পোস্টে থামানো হয়েছিলো। শুধু পরিচয় জেনে ছেড়ে দেয়। কিন্তু আর্মিরা অনেক খুশি হয়েছে আমার সাইকেলে পথচলার কথা শুনে। তারপর তাদের ম্যানেজ করে এই ছবিটা তুলেছি। 😀
রাঙামাটি থেকে বান্দরবন যাওয়ার পথে খাগড়ার পরেই জংগল ঘেরা পাহাড়ি রাস্তায় যাওয়ার সময় আমার গায়ে দুইটা বিচ্ছু পড়ে। আমি খেয়াল করিনাই। যখন করেছি ততক্ষনে হাতে চলে আসে উপর থেকে। প্রথমে দেখেই এমন ঝাড়ি দিছিলাম যে নিজেই এক্সিডেন্ট এর দিকে গেলাম। আরেকটা পড়েইনা। তারে একটা ফটু তুইলা তারপর ফালাইছি। 😛কিন্তু জুতার তলায় পিষে মারিনাই। কারন, আমার জুতায় তলা প্যাডেল এ লাগবে, প্যাডেল লাগবে প্যান্ট এ। তাইলে যেই লাউ সেই কদু… :v :v :v অবশ্য সেখানেই গায়ের জার্সি খুলে অর্ধ নেকড হয়ে চেক করি আর আছে কিনা!!! 😀
প্রিয় বাহন সাইকেল নিয়ে আমি সলো ট্যুর দেই। এটা আমার খুবই পছন্দ। খুব দারুণভাবে আমি সবকিছু উপভোগ করি একা। এক্ষেত্রে আমার ছবি তুলে দেওয়ার মত কেউ না থাকায় সকল ট্যুরেই মেক্সিমাম ছবি সেল্ফি। তবে এই সেল্ফি টা আমার সাইক্লিং ট্যুরের একটা বড় স্মৃতিফলক হিসেবে থেকে যাবে। সেদিন সকালে আমি রাঙামাটি শহর থেকে রওনা হয়েছিলাম সাইকেলে বান্দরবন এর উদ্দেশ্যে। রুট টা কাপ্তাই থাকলেও ভুলে আমি খাগড়া চলে আসি এবং উপস্থিত ম্যাপ দেখে খাগড়া-বাঙ্গালহালিয়া দিয়ে বান্দরবন শহরের দিকে এগোচ্ছিলাম। চলতে চলতে আমি কাপ্তাই উপজেলার মুরালীপাড়ায় এসে পড়ি। যতটা জেনেছি সেখানে মারমাদের বসবাস বেশি। একটি ছোট পাহাড়ে সরকারী প্রাইমারী স্কুল দেখে থামলাম স্কুলের নলকূপে(যদি থাকে) পানির বোতল দুইটা রিফিল করতে। পানি না পেয়ে চলে আসলে আমার পিছু পিছু প্রায় ২৫-৩০ টা পিচ্ছি চলে আসে। তাদেরকে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলাম বাংলায়। কিন্তু কোন উত্তর দিতে পারেনি কেউই। কারণ, তারা বাংলা বুঝেনা। তবুও তাদের সাথে আমি খুব আনন্দে হাসি-খুশি ১০ মিনিট সময় ব্যয় করেছি, যা ছিল আমার জন্য অনেক বেশি পাওয়া। আমার কাছে সেদিন তেমন কিছুই ছিলো না। কয়েকটা ম্যাংগোবার ছিল। কিন্তু কাকে রেখে কাকে দিবো ভেবে আর কেউকেই দেইনি। তবে তাদের হাসি-আনন্দ দেখে আমি বুঝেছি তারা সত্যিই আমার সংগ খুব ভালোভাবে নিয়েছে। আর তাদের এমন হাসিমুখ যেকোন দুঃখময় মনকেই ভালো করে দিতে পারে। ☺ আমি তাদের অনুমতি নিয়ে কয়েকটা সেল্ফি তুলেছি। যার মাঝে এইটা আমার কাছে হচ্ছে বেষ্ট।
স্থানঃ মুরালিপাড়া প্রাঃ বিদ্যালয়, কাপ্তাই, রাঙামাটি
সময়ঃ ১৫.০১.২০১৫, দুপুর ১২ টা ০৪ মিনিট ✌
পিচ্ছিগুলা আসলেই অনেক কিউট <3 

সেই স্কুলের ব্যাজ 
One of The MARMA guy. He is more stronger than me. cause he biked in mountains Uphill & downhill without Gears. I’m so happy to biked with him in mountain road within 8 kilometers (approximately). B|
চেক ইন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ 
রাঙুনিয়া পার হয়ে এখন কর্ণফুলী নদী পাড়ি দিচ্ছি ফেরীতে। B|

How many cyclists in this picture?  😛 😀
Location: Bangalhalia
বান্দরবান জেলায় প্রবেশ
আবার বান্দরবন সাইকেলে এসে পৌছালাম। এটা ২য় সফর। তবে রাস্তা ভিন্ন। 🙂এটাই বান্দরবন এর অন্যরকম সৌন্দর্য, সাংগু নদী।এসেই গতবারের সেই মাস্টার গেস্ট হাউজে উঠলাম। ঠান্ডা পানিতে গোসল সেরে খেতে এলাম সেই জামান হোটেলে। 😛
১৫.০১.২০১৫ বান্দরবান – ওয়াই জংশন – রুমা বাজার
প্ল্যান মত খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেই জামান হোটেলে নাস্তা সেরে নিলাম। শুক্রবার দিন হিসেবে জুম্মার নামাজের কথা মাথায় রেখেছিলাম কোথায় নামাজ পড়া যায়। হয়তো ওয়াই জংশন বাজারে নাহয় ম্রং বাজারে পড়ার ইচ্ছে। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়াটাই ভাল হবে। 
বাজার মোড় থেকে সাড়ে ৮ টায় রাইড স্টার্ট করি রুমা বাজারের উদ্দেশ্যে। 
Live At Milonchori Police Check Post. it’s altitude 1208 feet (approximately).
শৈল প্রপাতের পাশ দিয়ে সাইক্লিং করে চলে যাবো। আর ছবির জন্য পজ দিবোনা, এইটা ক্যামনে হয়? 😛
ফটো ক্রেডিটঃ উপরের ছবিটা সে তুলে দিয়েছিল
Drinking Special “Rede Tea” live from Bathani Para B|

Live from “Y Junction”.Now there is Raining Much better than Rainy season 😀

Bridge Name is “Bechra Bridge” Very dangerous turning in front of this bridge. much dangerous for downhill Lovers. 😉 😀

এই ছবির ক্যাপশনঃ ওয়াই জংশন এর আগে থেকেই বৃষ্টিতে সাইক্লিং করে বেচরা ব্রিজ(একটা ফটো দিয়েছিলাম লাইভ, যেখানে ৩ জন উপজাতি ছিলো) পার হলে তখনো বৃষ্টি থামেনি। আবার তখন এমন এক গহিন জংগলে ঢুকেছিলাম যে মনে হচ্ছে ভয়ে কান্নাই করে দিবো। কোথাও থামতেও পারছিনা। কারন, কোন জায়গা পাচ্ছিলাম না দাঁড়াতে। কিন্তু অনেক দুরে এসে এই ঘর টা পেলাম। সাথে কিছু ছেলেদের সাথে অনেক্ষন আড্ডা দিলাম। তারা আমাকে যথেষ্ট সমাদর করেছে। ঝর্নার পানি দিয়েছে খেতে। বিদায়ের সময় একটা সেল্ফি তুলতে চাইলে তারা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়।একজন জিজ্ঞেস ও করেছে (বাম থেকে ২য়), ছবি কি ইন্টারনেট এ যাবে? আমি বলেছিলাম, বন্ধুদের সাথের ছবি অবশ্যই যাবে।আজকে সব ছবির মাঝে এটাও দেখে এই বন্ধুদের কথা মনে পরছে। তাই আপলোড দিতে বাধ্য হলাম। কারন, তাদেরকে বলে দিয়েছিলাম, ইন্টারনেট এ ছবিটা দিবো। B|


Live from “Painkhongjiri River Bridge” Before Mrong Bazar. WTF!!!! Downhill Downhill Downhill from Y junction. 😀

Live from “Mrong Bazaar” Called at “Brick Bazar” by Local peoples. 🙂 
Jumma Salat Time at “Khoikkonji Jame Mosjid”.
ছবিটা এই ট্যুরের ঠিক ১ সপ্তাহ পরে বাসায় থাকা অবস্থায় শেয়ার করি।
গত জুম্মার সময় আমি ছিলাম আমার লাইফের সেরা কোন এক এডভ্যাঞ্চারাস মাউন্টেইন বাইকিং ট্যুরে। ম্রং বাজারের পরেই কৈক্ষ্যংঝিড়ি জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেছিলাম। যেখানে শেষ হয়েছিলো ওয়াই জংশন থেকে সব ডাউনহিল। নামাজের পরেই শুরু হয় আবার আপহিল। 😀
তবে সেই দিনের জুম্মার নামাজ আদায় আর আজকের এলাকায় জুম্মার নামাজ আদায়ের মাঝে অনেক তফাৎ ছিল। সেদিন নামাজের পরের মোনাজাতে ছিল শুধু আমার লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য ছোট একটা আবদার। আর আজকে ছিল শোকরিয়া আদায় সরুপ। 🙂 তবুও আমার শোকরিয়া আদায় যেনো শেষ না হওয়ার মতই।
রুমা সেতু। সাংগু নদীর উপরে।কতটা সুন্দর হয় পাহাড়ি এলাকা? এই ব্রিজে দাড়িয়ে চার পাশে মাথা ৩৬০ ডিগ্রীতে ঘুরিয়ে এক পলকে না দেখলে বুঝবেন না। 😀
তার নিচের নদীটাও অনেক বেশি সুন্দর। B
রুমা বাজারে ঢুকতেই যেখানটায় এসে আমি প্রকৃতির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম সেখানের একটা এক্সক্লুসিভ কিছু না থাকলে কি আর হয়? 😉 😛
উপরের কয়েকটা ছবি এই ছেলেটা তুলে দেয়। আমার পরের জন। 

 এই ছবিটি সেদিন রাতে পোস্ট করি।

ছবির ক্যাপশন নিচে… 

বান্দরবন জেলার রুমা উপজেলা। বগালেক, কেউক্রাডং এর নাম শুনার পরেই এই রুমা বাজারের নাম শুনলেও জানতাম না এটা একটা উপজেলা। 😀
এবং আজকেই আমি এই ছবিটার জায়গায় এসেই জানলাম এটা উপজেলা বান্দরবন জেলার অধীনে। 😀
দেশ না ঘুরলে আপনার অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে। চাই সেটা হোক ছোট-খাটো ব্যাপার। আমি আজকে এই নতুন ব্যাপার টা জানার পরেই কেমন যেন আনন্দ ও লাগছে, আবার লজ্জা ও। 😛
সকাল সাড়ে ৮ টায় বান্দরবন এর জামান হোটেল থেকে নাস্তা সেরেই সেই পুরানা থানচি রোডে আপহিল আর ডাউনহিলের সাথে খেলা করতে করতে ওয়াই জংশন এর কাছে আসার সাথে সাথেই শুরু হয় কুকুর বিলাই বৃষ্টি। 😛 আমি ভাবছি, শুধু এই পাহাড়েই হচ্ছে। পরে শুনি অন্যাদিকেও হইছে। 
ওয়াই জংশনে কিছুক্ষন অপেক্ষা করলেও যখন ফিল করলাম দেরি হয়ে যাচ্ছে তখন ওয়াই জংশন বাজারের এক দোকান থেকে বড় আর ছোট পোলিথিন নিয়ে ব্যাগ মোড়িয়ে আর মোবাইল প্যাছিয়ে প্যাডেলিং স্টার্ট করি। তবে অনেক্ষন ভিজলেও খুবই গরম রোদ পাই হঠাৎ। তারপর ম্রং বাজারের পরে এক মসজিদে জুম্মা নামাজ আদায় করি সময় মত। 
কিন্তু ওয়াই জংশনের আগে বান্দরবন থেকে একদম লো গিয়ারে রেখে যেইসব আপহিলে আসছি তার সবটুকু ঢেলে দিলাম এর পরে সামান্য সময়েই। 😀 মানে নামাজ পড়ার সেই মসজিদ পর্যন্ত ডাউনহিল আর ডাউনহিল। মাথা নস্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। এতোক্ষন ব্রেক ধরে রাখা যায় নাকি! o.O  আর সেই মসজিদ থেকে বের হয়েই শুরু আপহিল। প্রায় ৬ কিলোমিটার পরে আবার ডাউনহিল আর্মি ক্যাম্প আইমিন সুর্য তরুন পর্যন্ত। তারপর তো রুমা বাজার পর্যন্ত ভাংগা রাস্তায় ডাউনহিল। 😀
এভাবে আসলেও একদম মন টা জুড়িয়ে গেছে রুমা ব্রিজের উপর উঠে চারপাশের দৃশ্য দেখে। B|
রুমা বাজারে এসে সাইক্লিষ্টদের জন্য পরিচিত হোটেল হিলটনে উঠলাম। 😀
বৃষ্টির কারনে কাদা আর বালুতে সাইকেল ভরে গেছে। সন্ধায় একদম ক্লিন করে চেইন,গিয়ার লুব করে নিলাম। কারন?
কালই তো আসল মিশন। আইমিন যেই মিশনে এসেছি সেটাই কাল পুরণ হবে ইনশাআল্লাহ। অর্থাৎ কেউক্রাডং উঠবো সাইকেলে। তবে সবকিছুই আল্লাহর হাতে। খুব ভোরে রওনা হবো বগালেকের পথে। দুপুরের মধ্যে সেখানে পৌছে সামান্য রেস্ট নিয়েই কেউক্রাডং চলে যাবো। তবে একই চান্সে বান্দরবন ফিরতে পারবো কিনা তা নিয়েই  অনেক টেনশনে। যদি না পারি তবে কাল ইনশাআল্লাহ বগালেক থাকবো। B|
এতো পথ পাড়ি দিয়ে এসে শেষ দিকেই আমার আসল মিশন। শেষ ভালো যার সব ভালো তার। 
আমার শেষ ভালোর জন্যই দোয়ার আশায় আছি। 🙂

রুমা বাজারের ২ কিলোমিটার আগে এই মৃত্যুকূপ ডাউনহিল আপহিল 😀 মাটির রাস্তা… আর আমি পারিনাই সেইটা চিন্তা কইরা ঘুম নস্ট না করলেও চলবে। 😛
রুমা বাজারের ২ কিলোমিটার আগেই এইসব জঘন্য রাস্তা। আসলে কাজ চলছে এগুলার। তাই এসব এখন বেশি ডেঞ্জারাস। সেম রাস্তায় আছে কয়েকটা ডাউনহিল/আপহিল 😀
এটাও চরম একটা ভাংগা রাস্তা। ছবিতে গভিরতা কম দেখা গেলেও আসলে গভিরতা অনেক। সাইকেলে আপনাকে প্যাডেল মারতে হবেনা আপহিলে। জাস্ট ডাউনহিলে স্পীড থাকলেই চলে… 😀

Just now arrived at Ruma Bazar Hotel Hilton.

পাহাড়ি এলাকা। তার মাঝে নদী!! নদীর পানি এক্কেবারে স্বচ্ছ। নিচের সব দেখা যায়। 😀 কত বছর সময় দিলে এই সৌন্দর্য দেখে শেষ করবেন? :-P
ফটো ক্রেডিটঃ সেল্ফ টাইমার। এক নৌকা থেকে আরেক নৌকায়। 😉
ছবিটার মানুষ টা যেমন তেমন, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড টা দেখছেন? 😉 😛 
বান্দরবন এর যত গভীরে যাবেন ততই মনমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখতে পাবেন শিউর। B|
ফটো ক্রেডিটঃ সেল্ফ টাইমার 😀

Today’s top speed in a downhill after Y Junction. B|
আজকের দিনটা ছিল পুরোটাই মাউন্টেইন বাইকিং এর দিন। তেমন কোন টায়ার্ডনেস নেই শরীরে। বিকেলে রুমা বাজারে ঘোরাঘুরি টা সেইইইরকম ছিল। এতোই মজা পেয়েছি যে বারবার চিন্তা করতেছি, এখানে এর আগে কেন আসা হয়নি। :/
ইনশাআল্লাহ্‌ আগামীকালের দিনটা আরো দারুন কাটবে মাউন্টেইন বাইকিং দিয়ে। আমার স্বপ্ন টা সফল হবে ইনশাআল্লাহ্‌।
খুব ভোরে অর্থাৎ সকালের আলো ফুটে উঠার আগেই বের হতে হবে।
১৫.০১.২০১৫ রুমা বাজার – বগালেক – কেওক্রাডং – বগালেক
খুব ভোরে উঠেই বের হয়ে গেলাম মূল গন্তব্যের দিকে… 
সকাল সকাল এমন মন মাতানো দৃশ্য সারদিন কেমন যাবে তা ঠিকই বলে দিচ্ছে। 😀  
ছবির এমন কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড সবাইকে খুব কম বেশিই আকৃষ্ট করবেই। আমাকেই করে। তাই এখানেই সেল্ফ টাইমারে ভাব না নিলে কি হয়? 😉 😛
রুমা বাজার থেকে রাইড স্টার্ট করে ২/৩ কিলোমিটার পরেই এই ব্রিজ। নাম জানিনা। তবে মুনলাই পাড়ার কিছু আগেই।
আমি কি এখন মেঘের দেশে? 😉 😛 
লাইভ ফটোকাস্ট… 😀 
জায়গাটা মুনলাই পাড়ার কিছু পরে। ১১ কিলো পাহাড়ের আগে।
How to ride there? o.O
I’m really too much tired for uphill & uphill… 🙁
Remaining 10 km to Boga Lack. and Keukradong??? :'(
এই ডাউনহিল টা এতো এতোই ডেঞ্জারাস যে আমি আমার ভবিষ্যতের কথা ভুলেই গেছিলাম যে আমাকে বাঁচতে হবে!!! 😛
Breakfast time at Shuradoh Para.first area of 11 km hill. Biscuits and Banana Only 😀
আপহীলে তো মজা আছে। কিন্তু আপহীলের সাথে এমন বাঁক টা তো প্রত্যাশিত নয় 😛 
কোন গাড়ির শব্দ অনেক দূর থেকেই পাওয়া গেলেও ভয় পেয়ে যাই :/ 
Live from Boga Lake B-)
But you can’t imagine that how much high hills i passed in this way. 
But can’t ride in many steps due to danger altitude. 🙁 although I’m so happy to reach here. B|
On the way to Keukradong From Boga Lake. Changed the jersey due to own group credit for climbed in top 3rd altitude of BD.
বগালেক থেকে কেউক্রাডং পথে মেক্সিমাম জায়গায় দাড়ানোর মত স্পেসও নাই। সেখানে সাইকেল কে কিভাবে দাঁড় করিয়ে রেস্ট নিবো? আবার কোন গাড়ির হর্ন শুনছি ১ কিলোমিটার দূর থেকে। আগেই সাইডে সরে দাঁড়িয়ে আছি সাইকেল সহ। 😀তবুও কিছু জায়গায় পিক না খিচাইলে কি আর মজা পাওয়া যায়? 😛
সেল্ফ টাইমারে অনেক ঝুঁকি নিয়েও পোজ না দিলে মন ভরতেছেনা 😉 😛
লাইভ….
বগালেক থেকে কেউক্রাডং যেতে হারমুন পাড়ার আগে এই ঝর্না আছে। পানিগুলো অনেক পরিস্কার। খাওয়ার পানি বোতলে ছিল। সেগুলা ফেলে এখানে থেকে রিফিল করলাম আবার। কারন, এগুলা স্পেশাল। 😀
হাত মুখ ও ধুয়ে নিলাম। কিন্তু…
কেওক্রাডং এর আপহিলে আমার বয়স বানাইয়া দিছে ১৩০ বছর!!! 🙁
Live from Hormun Para. Very near of Keukradong… 😀

Live from Darjilling Para… 😉
I’m really excited just now for come to very near of Keukradong. 😀
আসতাছে যে এইটার নাম গোয়েল। দেইখাই ডরাইছি। তার মধ্যে এইটা চরম একটা ডাউনহিল লাল মাটির। :-/
গোয়েল
কেউক্রাডং এর খুবই কাছে। এখানে থেকেই কেওক্রাডং এর সুবাস পাওয়া যায়। 😛 B|
কেওক্রাডং যাওয়ার কিছু পথ আগে, দার্জিলিং পাড়ার পরে এই অস্ট্রেলিয়ান দুইজনের সাথে দেখা হয়। লিসা এবং তার ছোট ছেলে উইলিয়াম। তারা অনেক এক্সাইটেড হয়ে যায় আমাকে দেখে। তারপর তারা তাদের ক্যামেরায় এই ছবি তুলে নেয়। আমি কেউক্রাডং থেকে ফেরার পথে দেখা হয় আবার। কারন তারা গাইড নিয়ে হেটে নামছে। এখন বগালেক এসে আবার দেখা হলে তাদের সাথে কার্ড খেলার জন্য ইনভাইট করে। সাথে ডিনারের জন্য ও ইনভাইট করেছে 😀ফটো ক্রেডিটঃ একজন গাইড
এই সিঁড়িপথ কি কেউ চেনেন? না চিনলে বলে দিচ্ছি। 😛
দুর্গম পাহাড়ি পথে হেটে বা সাইক্লিং করে এই সিঁড়ি দেখার পরে অনেক শান্তি পাওয়া যায়। কারণ???
এইটাই কেওক্রাডং এর সিঁড়ি। 😉 বেশি না, আর মাত্র ৩০-৩৫ টা স্টেপ শেষ করলেই দেখা মিলবে কেওক্রাডং এর। B|
আপনি যদি কোথাও দৌড় দেন। অনেক লম্বা পথে দৌড়াতে দৌড়াতে  আপনার গন্তব্যে এসে পৌছান তবে আপনি নির্ঘাত জিহবা বাহির করেই চিত পটাং হয়ে যাবেন শিউর। ঠিক তেমনি আমার সহ যোদ্ধা Format Zor33 ও এভাবে কেউক্রাডং চুঁড়ার এই লেখা দেখেই ক্লান্তিজনক সকল দুর্বলতার কাছে হার মেনেই এভাবে শুয়ে পড়ে। 😛 :v বিলিভ ইট অর নট, আমি এই লেখার সামনে এসে খুব বাজে ভাবেই সাইকেলটাকে হাত থেকে ছুড়ে ফেলি। প্রেশার টা আরেকটু বেশি থাকলে আমার সহযোদ্ধা কে আর খুঁজে পাওয়া যেতোনা। 🙁সত্যিই আমি ভিষন ক্লান্ত ছিলাম সেই মুহুর্তে। শুধু কেউক্রাডং মিশনে সফল হয়েছি সেই খুশিতে বগালেক পর্যন্ত ডাউনহিলগুলো ধুম ধারাক্কা ভাবে প্যাডেলিং করে চলে আসছি। 🙂 নাইলে আমার সব এনার্জি সেখানেই পটল তুলেছিলো!!! 😛
এটার ব্যাপারে আর কিছু লিখার আশা করি প্রয়োজন নেই
 নিচের এই ছবিটি আমি কেওক্রাডং সামিট করার সাথে সাথেই আমার ফেসবুক দেওয়ালে পোস্ট করি ঠিক সেই মুহুর্তে। লিঙ্ক এখানে। 
And my mission is accomplished B|I’m really so much happy. 
I’m also proud to climb in this Keukradong lonely. 🙂
just crying when i reached in this peak. :'(
I’m second person in Bangladesh who climbed by bicycle there lonely. not with others or team. 🙂
Summit Time: 17.01.2015, 02:25 pm
স্বপ্ননীলে সাজানো উন্নত শৃঙ্গ কেওক্রাডং 
শান্তির বাধনে অমৃত জীবন 
সম্প্রীতির মহিমায় ভাস্বর বান্দরবান
– শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
ছবিতে আমার বাম পাশের সেই পাথুরে প্লেটে খোদাই করা লেখা কথাগুলো আসলেই সত্য। যদি আপনি বান্দরবান ট্যুরে না যান তাহলে এর প্রমান কখনই মিলবেনা। 🙂
নিজের দেশের এমন আপরূপ সৌন্দর্য দেখে শেষ করার মত না। এসব উপেক্ষা করেও যারা বিদেশ ট্যুরে যায়, তাদেরকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো ছাড়া আর কিছুই থাকেনা। 😛 এমন সুন্দর একটি জায়গায় উঠলাম, আর ক্ষেত একটা পোজ দিয়ে ছবি তুলুম না। এইটা একটা কথা হইলো? 😉 😀
এই ছবির ক্যাপশনটি নিচে দিলাম। এই ক্যাপশন টা লিখেছিলাম বগালেকে ফিরে। 

কেউক্রাডং।
বাংলাদেশের ৩য় সর্বোচ্চ ছুঁড়া। প্রত্যেক টা সাইক্লিষ্টের স্বপ্ন থাকে সেখান সাইকেলে পৌছানোর। আমিও এমন একটা স্বপ্ন লালন করে আসছিলাম নীলগিরি থেকে ফেরার পরে। যাচ্ছি যাচ্ছি করেই তো হয়নি। এবার আর ছাড়াছাড়ি নাই, এমন মনোভাব নিয়েই বের হয়ে যাই। এবং আজকে সেটাকে সফল একটা স্বপ্নে রূপান্তরিত করলাম। B|
আমার মত কেউ আজকে হ্যাপি নাই। আমি শিউর। 😀
আমার এই অর্জনের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার সহ ধর্মিণীর। তার সাপোর্ট এর জন্য আমি এতোদূর আসতে পারলাম। আর বিশেষ করে এই কেউক্রাডং জয় পর্যন্ত যাদের ফোনে খুব বেশি ডিস্টার্ব করেছি বিভিন্ন রকমের তথ্য চেয়ে, তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট না করলেও ট্যাগ করে বিরক্ত করা যায়। 😛 
Niaz,Capsule​,Saymon​ ভাই। এদেরকে অনেক বিরক্ত করেছি ক্ষনে ক্ষনে। কিভাবে কোন পথে কোন সময় যাবো। অথবা অন্য রকম সব আজগুবি প্রশ্ন করে হুদাই বিরক্ত করার জন্য দুঃক্ষিত। 😉 
ভোর ঠিক ৬ টায় রুমা বাজারের হোটেলের নিচ থেকে রাইড স্টার্ট করি আল্লাহর নাম নিয়ে।আসলে আমি সাইকেলের স্যডেলে বসলেই কিছু কমন দোয়া অনেক লম্বা সময় নিয়ে পড়ে ফেলি। যা আমার বাবা থেকেই শেখা। এবারো ব্যাতিক্রম না। 
রুমা বাজার থেকে বের হলেই যেই আপহিল, তা দেখেই আমার চোখ কপালে উঠে গেছে। যাক, এখানেই প্রথম একটা ব্যথা পাই আপহিল থেকে ব্যাক আসায়। অর্থাৎ বিসমিল্লাহ্‌য় গলদ আর কি!!! 😀
রুমা বাজারের থানা ক্যান্টিনে এতো সকালে ট্যুরিস্টদের এন্ট্রির জন্য লোক না আসায় বেচে গেলাম। আর গাইডের জন্য ও লোক রা না থাকায় ক্যাচাল থেকে বেচে যাই। এবং নওয়াব এর মত প্যাডেল মেরে সামনের দিকে এগিয়ে যাই। 😀
যেই সব সাইক্লিষ্টরা দুরে থেকেই চিন্তা করেন যে ইজিলি রুমা থেকে বগালেক বা কেউক্রাডং পৌছে যাবেন, তাদের মত মূর্খ আর কেউ নেই। :3
রাস্তাগুলো এতোই বাজে যে বলার মত। সম্পুর্ন ইটের রাস্তা। তাও আবার অনেক আপহিলে পিচ্ছিল হয়ে আছে। আবার ডাউনহিল ও এতো শান্তির না। চরম ডাউনহিল এগুলো। যেখানে আপনি অয়েল হাইড্রোলিক দিয়েই সাইকেলের চাকা ঘুরানো থেকে থামাতে পারবেন না। আর ডিস্ক ব্রেক আর ভি ব্রেকের কথা পুরাই বাদ দিলাম। 😉 
মেক্সিমাম আপহিলে গাড়ির চাকার মত আমার সাইকেলের পেছনের চাকাও স্লিপ কাটছে। :-/
বেশ কয়েকটা যায়গায় ডাউনহিলে বড় বড় শক্ত মাটির চাকার সাথে লেগে থেমে গেছে। যেখান থেকে আবার রান করা বড়ই ডেঞ্জারাস। হয় উল্টাইয়া পড়তাম নাইলে সাইডে মাটির পাহাড়ের সাথে ঘশা খেতাম। কিন্তু দুই তিন টা সামান্য দুর্ঘটনা ছাড়া সকল রাস্তায় ভালোভাবেই শেষ করে গন্তব্যে পৌছেছি। এই জন্য বিশাল করে আলহামদুলিল্লাহ না বললে বড়ই বোকামি হবে। 🙂
আর বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ আপহিল/ডাউনহিলে আমি ভালোমতো উঠেছি, উঠতে পেরেছি। সেখানের সেই সব আপহিল/ডাউনহিলে আমি ইচ্ছে করে ডাবল অর্থাৎ দুইবার প্যাডেলিং করেছি। কারন, একা মানুষ। ভিডিও করেছিলাম কয়েক জায়গায়। উপর থেকে আবার নিচ থেকে ক্যামেরা জায়গা মত বসিয়ে দিয়ে ভিডিও কম্পলিট করেছি। এভাবে এক্সক্লুসিভ কিছু জায়গায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে ছবি তুলে আপলোড দিয়ে সময় নস্ট করলাম। যার জন্যে সেখানে পৌছাতে আমার সময় বেশি লেগেছে। 
যাই হোক, এখন বগালেক এ সিয়াম দিদির কটেজে উঠেছি। কাল ভোরে কোন এক চাঁদের গাড়িতে করে রুমা এবং বাসে বান্দরবন যাবো। সেখান থেকে সোজা ঢাকা ইনশাআল্লাহ। B|
গুড নাইট ফ্রম বগালেক। 😀


দৈনিক বণিক বার্তায় আমার এই এচিভমেন্ট নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপানো হয়। সেই প্রতিবেদনে এই ছবিটি প্রকাশ পায়।

সেদিনের দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকা লিঙ্ক এখানে। প্রতিবেদনের লিঙ্ক এখানে। 


After complete my mission,just now arrived at Boga Lake. Staying in Siam didi’s cottage. 🙂

 কেওক্রাডং থেকে ফিরে নিজের সাইকেলের দিকে তাকিয়ে অবাক হচ্ছি যে, এই অবস্থা আমার বাইকের!!! :/ ধুলোবালি আর লাল মাটির কাদায় পুর বাইকের অবস্থা বেজায় খারাপ।
কিছু স্ন্যাপ…

বগা লেকে গোসল করতে এসে বগা লেকের সাথে একটা সেলফি 😉 

আমি ট্যুরে গেলেই শুধু সেল্ফি দেই। অনেকেই আমার সেল্ফি দেখতে দেখতে বিরক্ত। তাই তাদের জন্য এক্সক্লুসিভ একটা সেল্ফি। পানির নিচের সেল্ফি… 😛

Playing cards with foreigners B|

Dinner time…

Good Morning from Boga Lake…
After breakfast. waiting for Chader Gari to go Ruma Bazar. B|

নিচের এই ছবিটি ট্যুর থেকে ফেরার কয়েকদিন পরে শেয়ার করি…

বামেরজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক লিসা। মাঝের জন হচ্ছেন রানী। অর্থাৎ বগালেকের রানী সিয়াম দিদি। এক নামেই রুমা বাজার থেকে শুরু করে সকল পুলিশ, আর্মি, বিজিবি সবাই তাকে চিনেন। যেখানেই যার কোন প্রবলেম হবে উনাকে কল দিলেই হয়। আর সাইকেলে কেউ কওক্রাডং যেতে চাইলে উইথাউট গাইড,উইথাউট পুলিশি প্রবলেম বা আর্মি ও ধরলে উনার সাথে কথা বলে নিলে মুশকিল আসান। 😀উনার কটেজ ও আছে বগালেক এ। খাবারের মান অনেক ভালো। আর উনার ব্যবহার ও অনেক ভালো। 🙂সেদিন বিদায়ের সময়ের ছবি এটা।আর এক্কেবারে ডানের জন??? মালুম নেহি!!!!! 😛

বিদায় বেলায় উইলিয়ামের সাথে সেলফি

গাড়িতে উঠলে উইলিয়ামের মোবাইলে গ্রুপ সেলফি 

গাড়ি স্টার্ট দেওার সময় লিসার ক্যামেরায়

Last Selfie with Lisa & William at Ruma bazaar. I’m so pleased for their co-operation. without their jeep i can’t came from Boga Lake to Ruma bazaar before evening. but they are so happy for spending their tour times with me. and me too. Right one Papon is their tour guide in Bangladesh. he also be happy for my times. 🙂now I’m on the way to Bandarban by Bus.

রুমা বাজারে এসে বাসের টিকেট কেটে ওয়েট করছিলাম। তখন এই ছবিটি ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার হিসেবে আপলোড করি। 😛

এতো দারুন একটা এডভ্যাঞ্চারাস ট্যুর শেষ করে আসতেছি আর একটা ভাব লইয়া প্রোফাইল ফটো আপলোডাইবোনা না। এটা কোন কথা!! o.O  😛
ফটো ক্রেডিটঃ একজন পথচারী
স্থানঃ রুমা বাজার বাস স্ট্যান্ড

Just Crossed Y Junction… B|

Live from Nilachal… B|

নীলাচলের ঝুলন্ত নীলা। জায়গাটা কত সুন্দর নিজেরাই গিয়া দেইখা আহেন!!! 😛 :v
যেখানে বসে আছি, যায়গাটার সৌন্দর্য ব্যক্ত করা আমার দ্বারা পসিবল না। 😛এখানে বসে একটা বিকেল কাটানো মানে বিশাল কিছু। কত বিশাল তা নিজে না কাটাইলে তার আগে বুঝবেন না। 😀ফটো ক্রেডিটঃ ভাই একটা ছবি তুইলা দিবেন? 😛 :vক্যামেরাঃ Walton Primo HMস্থানঃ রোয়াদো রং ভিউ পয়েন্ট (নাম টা শুনে কেউ টাস্কি খাইলে কিচ্ছু করার নাই) 😛

ঠিক এই জায়গাটায় বসা ভীষণ রিস্কি। কেউ যেন এইসব রেলিং এ না উঠে সেই জন্য সব সময় একজন সিকিউরিটি বাশি নিয়ে এলার্ট থাকেন। আমার বাম পাশে একটা প্লেটে লিখা আছে “রেলিং এর উপরে না বসার জন্য ধন্যবাদ”। 😛কিন্তু আমি সেই সিকিউরিটির চোখ কে ফাঁকি দিয়ে কোন রকমে চেপে বসি এইখানে। যখন বসছিলাম, তখন পেছনে থেকে মনে হচ্ছে কেউ আমার পিঠে বরফ ধরছে। তারমানে পেছন অনেক ঠান্ডা বাতাস অনুভব করেছিলাম। B| আসলে সেই ভিউ টা এতোই সুন্দর যে, রিস্ক ভেবে ছবি না তোলা মানেই বোকামী। তবে এখন, ছবিটা দেখেই সেটাই সত্য মনে হলো। B)ফটো ক্রেডিটঃ এক্সকিউজমি আপু, একটা ছবি তুলে দিবেন? 😛 এইজন ছিলেন একজন চাটগাইয়া আফা। আসলে আশেপাশে সেই ইমার্জেন্সি মুহুর্তে কোন ভাইয়া খুঁজে পাইলাম না। 😀ক্যামেরাঃ Walton Primo HMস্থানঃ লা রঙ, নীলাচল, বান্দরবানসময়ঃ ১৮.০১.২০১৫, বিকাল ৫:২০

I’m just missing you at this lovely place in a romantic moment… <3

মোগলাই সাবাড় করছিলাম
at Jaman Hotel, Bandarban B
ফেরার সময় বাসের ছাঁদে আমার সহযাত্রী 

Road to Dhaka by S.Alam B|

আমার লাইফে এটাই হয়ত সবচেয়ে এডভেঞ্চারাস ট্যুর। অনেক কষ্ট করতে হয়েছিলো আমাকে শেষতক পৌঁছানো পর্যন্ত। 

সেখান থেকে ফিরেই আমার ফেসবুক প্রোফাইল কভারে একটি ছবি শেয়ার করি কিছু প্রিয় মানুষদের উদ্দেশ্যে সামান্য কিছু লিখে। 
KeokradongThe 3rd highest peak in Bangladesh.As a cyclist, i had a dream to climbed there by my bicycle.17th January 2015, 2:25pm.That time my dream was succeeded. and I’m the happiest person for that day to complete my mission with few accidents (not major) and dangerous adventurous moments in this Mountain biking tour. B|The route was like that.
Bariyarhat – Ramgoan – Khagrachari (Jaliyapara) – Mohalchari – Rangamati – Khagra – Bandarban – Y Junction – Ruma Bazar – Boga Lake – Keukradong. then returned to Boga Lake by cycle for night stay. if anybody need Endomondo tracking map, so visit my profile.
From Bangladesh, many cyclist brothers was climbed there successfully with teams or rider mate. but may be I’m the second Cyclist in Bangladesh who climbed here lonely. actually I’m not sure about second. cause i heard about Numan Bhai only, who was climbed there lonely. if there any wrong info, please correct this with better sources. Advance Thanks for helping peoples. 🙂But for this achievement i would like to say special thanks to Almighty Allah.for super support, that achievement i want to dedicate to my beloved wife Priya​. <3for all kinds of information’s about climbing and biking from Bandarban to Keukradong i want to say BIG Thanks to Niaz bhai, Capsule Bhai & Saymon Bhai.but every times i have remembered my Honorable Mods of BDCyclists & East Dhaka Cyclists​ mod Raihan Sabuj​ bhai. B-)
they always supporting me and inspiring me for do something 
Stunning and exceptionally better for prove myself.Thanks to all of my well wishers for being with me. 🙂
রুমা বাজার থেকে বগালেকে তেমন কোন ভিডিও ধারন করার মত ইচ্ছে হয়নি সময়ের দিকে তাকাতে যেয়ে। তবে বগালেক থেকে কেউক্রাডং যেতে বেশ কিছু ঝুকিপুর্ন জায়গা আমাকে খুব বিরক্ত করেছে চালিয়ে উঠতে পারছিলাম সহজভাবে। কিন্তু জেদ করে কিছু জায়গায় একবার না পারিলে দেখো শতবার কথাগুলো চিন্তা করে ৩ বার ট্রাই করি। এবং ৩ বারের ১ বার ভিডিও ধারন করি নিজের মোবাইলে। সেই ক্লিপ্সগুলো মিলিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করি ট্যুর থেকে ফেরার অনেক দিন পরে। 


ভিডিও টি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ইউটিউবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ফেসবুকে সম্পুর্ন ফটো এ্যালবাম এখানে


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে ভিজিট করা এবং পোস্টটি পড়ার জন্য।
আপনাদের উৎসাহ আমাকে আরো অনুপ্রাণিত করবে নতুন কিছু করতে।  

আসছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু রাস্তায় সাইক্লিং এর দারুন অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশাল পোষ্ট, অপেক্ষা করুন 😀
Spread the love

1 thought on “এক্সট্রিম সলো মাউন্টেইন বাইকিং ট্যুর (মিশন কেওক্রাডং)”

Leave a Comment